গতকাল সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সুপারিশ করা হয়,সঙ্গে চিনি শিল্পকে ঢেলে সাজাতে অতিরিক্ত জনবল ছাঁটাইয়েরও সুপারিশ করা হয়েছে।
বৈঠকে বাজারে চিনির দাম বাড়তি থাকার বিষয়েও আলোচনা হয়। কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, একেএম ফজলুল হক, মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান, কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ও পারভীন হক সিকদার বৈঠকে অংশ নেন।
আগামী বছর রোজার আগেই বাজারে চিনির দাম স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনকে (বিএসএফআইসি) চিনি আমদানি করতে বলেছে সংসদীয় কমিটি।
বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে বাজারে চিনির দাম একটু বেশি। কমিটি বিষয়টি আমলে নিয়ে মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নিতে বলেছে। নানা কারণে আমাদের চিনি শিল্প সংকটে আছে। কিন্তু আগামী রমজানের আগে যেন বাজার স্থিতিশীল থাকে সেজন্য আমরা বিএসএফআইসির অধীনে চিনি আমদানি করতে বলেছি। সরকার চিনি শিল্পে সবসময় ভর্তুকি দেয়। কারণ বাজার যাতে স্থিতিশীল থাকে। সেজন্য আমরা সরাসরি বিএসএফআইসির অধীনে চিনি আমদানি করতে বলেছি। অন্য কোনো মাধ্যমে নয়।
আগামী বছর রোজার আগেই বাজারে চিনির দাম স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনকে (বিএসএফআইসি) চিনি আমদানি করতে বলেছে সংসদীয় কমিটি।
মন্ত্রণালয় সংসদীয় কমিটিকে জানায়, রোজার সময় দেশে সম্ভাব্য চিনির চাহিদা তিন লাখ টন। এ চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বিএসএফআইসি, বেসরকারি সুগার রিফাইনারি প্রতিষ্ঠান ও টিসিবির কাছে মজুদ চিনি দিয়ে গত রোজার মাসে চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। বিএসএফআইসির আর্থিক সংকটের কারণে চিনি আমদানির কোনো পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয়নি বলে জানায় মন্ত্রণালয়।