পেঁয়াজের ঝাঁঝ কমতে শুরু করেছে। কিছুদিন আগে এর দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম।
সেপ্টেম্বর মাস থেকে হিলিস্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। তবে হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণে আমদানিকারকেরা বেশ বিপাকে পড়ে যায়।
বাজারে বার্মা ও পাতা পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় কমেছে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম। প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকা কেজি দরে। দাম কমলেও ক্রেতা সংকটে স্থানীয় আমদানিকারকরা।
বর্তমানে বাজার পরিদর্শন করে দেখা গেছে যে, পেঁয়াজের দাম কিছুটা নিম্নমুখী। এ বিষয়ে আমদানিকরকেরা বলেছেন, পেঁয়াজের ওপর শুল্ক প্রত্যাহারের প্রভাবে পেঁয়াজের দাম কমে আসছে।
দেশে বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা বাড়লে, ভারত প্রায় প্রতি বছরই নানা অজুহাতে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেয়। এ বারও তার ব্যতিক্রম হয় নি। একারণে দেশের আমাদানিকরকেরা বার্মাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে। এদিকে দেশে নতুন পেঁয়াজ ওঠতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে ভারতও পেঁয়াজের দাম কমিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে বার্মার পেঁয়াজ পুরোপুরি বাজার দখল করে রেখেছে। এরই প্রভাব পড়েছে বাজারে পেঁয়াজের দামে। বাজারে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ২৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে হিলিস্থল বন্দরে পেঁয়াজ ক্রয় করার জন্য পাইকার ব্যবসায়ী প্রায় নেই বলা যায়। পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আগে প্রতিদিন ১০ থেকে ২০ ট্রাক পেঁয়াজ কেনা হলেও বর্তমানে এক ট্রাক পেঁয়াজও কেনা হচ্ছে না। যেহেতু পুরো দেশের বাজারে বার্মা ও অন্যান্য দেশের পেঁয়াজের দখলে রয়েছে। সে কারণে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা নেই।