সারি সারি পচা পেঁয়াজের স্তূপ চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের আড়তের সামনে। যার গন্ধে বমি হওয়ার উপক্রম পথপাচারী থেকে শুরু করো বিক্রেতা। আড়তের পাশে হেঁটে গেলেই হাত নাকে দিতে বাধ্য পথচারী।
ব্যবসায়ীরা বর্তমানে দোকান গুদামে পচে যাওয়া এসব পেঁয়াজ ময়লার ভাগাড় ও চাক্তাই খালে সরাসরি ফেলে দিচ্ছেন।
গতকাল সরেজমিনে মধ্যম চাক্তাইয়ের পইলার পুল ব্রিজের নিচে দেখা মিলেছে পচে যাওয়া বস্তার স্তূপের। ময়লার ভাগাড় থেকে কয়েকজন পথশিশু পেঁয়াজ সংগ্রহ করছে। এছাড়া অনেক ব্যবসায়ী এসব পেঁয়াজ বস্তা থেকে খুলে সড়কে শুকাতে দিয়েছেন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পচা পেঁয়াজের গুণগত মান নষ্ট হয়ে যায়। তাই এসব পেঁয়াজ খেলে খাদ্যে বিষক্রিয়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিয়ানমার থেকে আমদানি হওয়া বেশিরভাগ পেঁয়াজই এসেছে পচে যাওয়া অবস্থায়। এরমধ্যে বেছে বেছে ব্যবসায়ীরা আলাদাভাবে সেগুলো বস্তা পুরে বিক্রি করছিলেন। একটি ৫০ কেজি বস্তা থেকে মোটামুটি ভালো পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে ২০ কেজির মতো। আবার নষ্ট ও পচে যাওয়া এসব পেঁয়াজ ভ্রাম্যামাণ হকাররা ভ্যানে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছেন।
তারা আরো জানান ,মিয়ানমার থেকে ট্রলারে আসার পথে বস্তায় পানি প্রবেশ করায় পচে যায় বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ। নষ্ট পেঁয়াজের সংস্পর্শে ভালো পেঁয়াজও খারাপ হয়ে যায়। এছাড়া গত দুই সপ্তাহ আগে খুব বেশি গরম পড়েছিল, গরমেও পেঁয়াজ পচে যায়। শুকানোর পরে বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ ফেরিওয়ালারা ভ্যানে বিক্রি করার জন্য পেঁয়াজগুলো ৫-৭ টাকা কেজি দরে নিয়ে যাচ্ছেন।
সূত্র জানা যায় ,বর্তমানে মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় এবং ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকায়।
দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ টন। এর মধ্যে ১৮ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয়। আর আমদানি করা হয় বাকি চার লাখ টন। মূলত এই আমদানিকৃত চার লাখ টন পেঁয়াজ বাজারের ওপর খুব বড় প্রভাব ফেলে।
Discussion about this post