সাম্প্রতিক বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে অনেক ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে ভারতে পেঁয়াজ উৎপাদনকারী দক্ষিণাঞ্চল। যার ফলে বাংলাদেশেও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে অনেক। সে ক্ষেত্রে বিকল্প উৎস হিসেবে আমদানিকারকরা এখন মিয়ানমারের দিকে ঝুঁকছেন। এর কারণ হলো মিয়ানমারের পেঁয়াজ এখনো ভারতীয় পেঁয়াজের চেয়ে কম দামে পাওয়া যাচ্ছে।
পাইকারদের তথ্য অনুযায়ী, গত বুধবার সেখানে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬৫ টাকায়, ভারতীয় পেঁয়াজ ৫৫ টাকায় এবং মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৫০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে সব পেঁয়াজের দাম ১৫ টাকা করে কম ছিল।
ভারতে পেঁয়াজের দামে অস্থিরতা শুরুর পর থেকেই এই বন্দর দিয়ে মিয়ানমারের পেঁয়াজ আমদানি বাড়তে শুরু করে। গত ১০ দিনে দুই হাজার ৮০০ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে মিয়ানমার থেকে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ২০ সেপ্টেম্বরের আগে দু-এক দিন পর পর পেঁয়াজের বোট আসত টেকনাফ বন্দরে। এখন প্রতিদিন দু-তিনটি বোট আসছে পেঁয়াজ নিয়ে। তবে মিয়ানমারের পেঁয়াজের চাহিদা বাড়ায় দামও কিছুটা বেড়েছে। অবশ্য তা ভারতের চেয়ে কম। ২০ সেপ্টেম্বরের আগে টেকনাফ স্থলবন্দর পর্যন্ত মিয়ানমারের পেঁয়াজের দাম পড়ত ৩১ টাকা। গত বৃহস্পতিবার টেকনাফ পর্যন্ত দাম পড়ছে ৪০ টাকা। অর্থাৎ কেজিতে ৯ টাকা দাম বেড়েছে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, এখন সরকারিভাবে পেঁয়াজ আনার সুযোগ নেই। মিয়ানমারে লকডাউন থাকায় বিভিন্ন কম্পানি, ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীর সঙ্গে চুক্তিতে পেঁয়াজ আমদানি করছেন দেশের ব্যবসায়ীরা।