বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন বাণিজ্যসচিব আর প্রশ্নের জবাব দেন বাণিজ্যমন্ত্রী। এ সময় অন্য মন্ত্রীরা কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
বাণিজ্যসচিব জানান, যে ঘটনা ঘটে গেছে তা তো গেছেই, ভবিষ্যতে যাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সে ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। গত ৪ জুলাই ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা জারি করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরপর থেকে ই–কমার্স খাত শৃঙ্খলায় ফিরছে। অনিয়মগুলো তার আগের। সচিব বলেন, বৈঠকে অনেকে ই–কমার্স ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ারও সুপারিশ করেছেন। কেউ কেউ বলেছেন ১০ থেকে ১২টি প্রতিষ্ঠানের কারণে পুরো ই–কমার্স খাত বন্ধ করে দেওয়া ঠিক হবে না।
বাণিজ্যসচিব বলেন, পুরো ই–কমার্স খাতকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গঠন, ডিজিটাল কমার্স আইন প্রণয়ন কেন্দ্রীয় অভিযোগ নিষ্পত্তি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু করার সুপারিশ এসেছে বৈঠক থেকে। এ ছাড়া সবাইকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ইউনিক আইডেনটিফিকেশন নম্বর নেওয়া, শাস্তি দেওয়ার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে সামান্য সংশোধন করারও সুপারিশ এসেছে। আইন সংশোধনে একটু সময় লাগবে। অন্যগুলোর ব্যাপারে কাল (আজ) থেকেই কাজ শুরু করা হবে।
প্রশ্নোত্তরপর্বে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির কাছে প্রশ্ন ছিল, কবে নাগাদ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ করা হবে এবং করেই বা লাভ হবে কী। ডেসটিনি ও যুবকের গ্রাহকেরাও তো ক্ষতিপূরণ পাননি। জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ডেসটিনি, যুবকের গ্রাহকদের বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে। তাদের ভালো সম্পদ ছিল, দিনে দিনে যেগুলোর দাম বেড়েছে। আইনি প্রক্রিয়ায় সম্পদগুলো বিক্রি করে গ্রাহকদের পাওনা ফিরিয়ে দেওয়া যায় কি না, তা আইন মন্ত্রণালয় দেখবে।
টিপু মুনশি বলেন, ইভ্যালির চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এখন জেলে। ধামাকার কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এটাও ঠিক যে করোনার এই সময়ে হাজার হাজার ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, যারা টিকেও আছে। তাদের চলতে দিতে হবে। যারা প্রতারণা করেছে বরং তাদের শাস্তির মাত্রাটা বাড়াতে হবে।