পৃথিবীতে ধনী বা সফল হতে চায় না এমন লোক একটাও খুজে পাওয়া যাবে না, হোক সে ভালো বা মন্দ লোক। ইংরেজিতে একটা কথা আছে-”Success is the best revenge “.অর্থাৎ সফলতাই সবচেয়ে বড় প্রতিশোধ। কেউ যখন সফল হয় তখন সমাজে সবাই তাকে সম্মান করে। এমনকি তখন তার শত্রুরাও অনুশোচনা করে, কেন তার সাথে সর্ম্পক খারাপ করলাম। এবার আসুন জেনে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধনী বা সফল ব্যাক্তিদের কিছু গুন যার দ্বারা আজ তারা পৃথিবীতে রাজত্ব করছেন।
১)পরিকল্পনা(Planning): সফল ব্যাক্তিরা সকালে ঘুম থেকে উঠেই সারাদিন কি কি করবেন তার পরিকল্পনা করতেন,যে কোন কাজ করার আগে পুনঃরায় ভেবে নিতেন।প্রস্তুতি আগে ভালো নিয়ে তারপর কাজ শুরু করতেন।একজন দার্শনিক বলেছিলেন -“আমাকে যদি একাটি কুঠার দিয়ে ৩ ঘন্টায় একটি গাছ কাটতে বলে। তাহলে আমি ২ ঘন্টা ব্যায় করব কুঠার শান দিতে, বাকী ১ ঘন্টা ব্যায় করব গাছটি কাটতে।
২)শ্রম ও বাস্তবায়ন (Actualization): পরিকল্পনা করে বসে থাকলেই সব শেষ।এটাকে এখানেই কবর দিয়ে দিলেন।বলা হয় যে -“পৃথিবীর সব মানুষ যে পরিমান সময় স্বপ্ন দেখায় ব্যায় করে, তার অর্ধেক ও যদি কাজে ব্যায় করতো,তাহলে দারিদ্র্যতা শব্দাটি পৃথিবী থেকে উঠে যেতো।
৩) নিজের শক্তি ও দুর্বলতা খুজে বের করা (Find out your strength and weakness): বিধাতা সবাইকে সব কিছু দেন না।আবার সবাইকে ১টা না ১টা স্পেশাল গুন দেন, যা সবার থাকে না।আপনার এই গুনটিকে খুজে বের করে কাজে লাগাতে হবে এবং দুর্বলতা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করতে হবে।
জ্যাক মা বলেছিলেন-“I failed a key primary school test two times,I failed the middle school test 3 times,I failed the college entrance exam two times” মানে মোট ৭ বার তিনি স্কুল থেকে কলেজ এ ফেইল করে এখন তিনি চীনের সবচেয়ে এবং বিশ্বের ৩৩তম ধনী। কারণ লেখাপড়ায় ভালো হওয়া মানেই সব না,তিনি তার আইটি মেধা কাজে লাগিয়ে আজ আলীবাবা গ্রুপ এর CEO.
৪)ধৈর্য্য(Patience): জীবনে উথ্থান পতন আসবেই কিন্তু ধৈর্য্য হারালেই সব শেষ।টেন্ডুলকারের ছোটবেলার বন্ধু বিনোদ কাম্বলি টেন্ডুলকারের চেয়ে অনেক ভালো প্লেয়ার ছিলেন কিন্তু ধৈর্য্যের অভাবে আজ তাকে কতজন চিনে,অপদিকে টেন্ডুলকারকে চিনে না এমন লোক খুজে বের করা কঠিন।
৫)অযুহাত(Excuse): পৃথিবীতে যারা সফল হয়েছেন তারা কোন অযুহাত দিতেন না,সরাসরি নিজের দোষ স্বীকার করে নিতেন। আর তাই তারা কোন কাজে ব্যার্থ হতেন না। স্টিভ জভসকে যখন তার নিজের কোম্পানী Apple থেকে বের করে দিয়েছিলো তখন তিনি কোন কিছুই বলেননি, নিজেকে দোষী মনে করে, বের হয়ে, নিজেকে নতুনভাবে চিনেয়েছেন এনিমেশন তৈরি করে। এবং পরে Apple কোম্পানী কিনে নিয়েছিলেন, তৈরী করেছেন স্মার্টফোন ।
Discussion about this post