প্রবাসীদের বন্ডের মুনাফার হারও কমিয়েছে সরকার। এর ফলে দেশের বাইরে থাকা বাংলাদেশিরা ডলারে যেসব বিনিয়োগ করেন, তাঁদেরও মুনাফা কমবে। তবে নতুন করে বিনিয়োগ করা বন্ড থেকে শুধু মুনাফা কমবে। আগের কেনা বন্ডে মেয়াদ পূর্তি না হওয়া পর্যন্ত আগের মুনাফা দেওয়া হবে।
আজ মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এ নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে সঞ্চয়পত্রের পাশাপাশি প্রবাসীদের বিভিন্ন বন্ডের মুনাফার হার কমানো হয়েছে।
প্রবাসীদের তিন বন্ড হলো ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড ও ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড। এসব বন্ড পাওয়া যায় বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউস, দেশি ব্যাংকের বিদেশি কোনো শাখা ও বাংলাদেশের ব্যাংক শাখায়। আবার এসব বন্ডের বিপরীতে দেশি ব্যাংক থেকে ঋণও পাওয়া যায়। বিনিয়োগ করা অর্থ চাইলে আবার বিদেশেও ফেরত নেওয়া যায়। এসব বন্ডে বিনিয়োগ করে সিআইপি সুবিধা পাওয়া যায়। আবার এই আয়ে করমুক্ত সুবিধাও মেলে।
ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড পাঁচ বছর মেয়াদি। এতে মেয়াদ শেষে মুনাফার হার ১১ দশমিক ২০ শতাংশ পর্যন্ত। এখন ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করলে মেয়াদ শেষে মুনাফার হার হবে ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ। ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার হবে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। আর ৫০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মেয়াদ শেষে মুনাফা হবে ৮ দশমিক ৪০ শতাংশ হারে। প্রবাসীরা মূলত এই বন্ডে বিনিয়োগ করেন।
ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড তিন বছর মেয়াদি। এই বন্ডে বিনিয়োগে মুনাফার হার পরিবর্তন করা হয়নি। বর্তমানে এই বন্ডে মেয়াদ শেষে মুনাফার হার সাড়ে ৭ শতাংশ।
ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডও তিন বছর মেয়াদি। মেয়াদ শেষে মুনাফার হার সাড়ে ৬ শতাংশ। এই বন্ডেও মুনাফার হারে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।
বাংলাদেশের মতো এত মুনাফা উন্নত দেশগুলোতে পাওয়া যায় না। তাই যাঁরা কাজের সুবাদে বা পারিবারিকভাবে বিদেশে অবস্থান করেন, তাঁরা মুনাফা পেতে এসব বন্ডে বিনিয়োগ করেন।
Discussion about this post