একই সঙ্গে রাজারবাগ দরবারের কালো তালিকভুক্ত সন্ত্রাসী সংগঠন আছে—জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এমন অভিমতের বিষয়ে তাদের জঙ্গিসম্পৃক্ততা আছে কি না, সে বিষয়ে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। সিটিটিসিকেও আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
রাজারবাগ দরবার শরিফের পীর ও তাঁর ১১ সহযোগী দেশের ৬টি জেলায় পৃথক ৩৪টি মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন অভিযোগ করে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চেয়ে ওই ৮ ব্যক্তি ১৬ সেপ্টেম্বর রিট আবেদন করেন, যার ওপর আজ শুনানি হয়।
আদালত বলেছেন, তদন্ত কাজে তিনটি সংস্থা মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে পদক্ষেপ নেবে। এ ছাড়া রিট আবেদনকারীদের অযথা হয়রানি না করতে ও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। রিট আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে হওয়া একটি মামলার বাদী মফিজুল ইসলামের পক্ষে আইনজীবী কুমার দেবুল দে শুনানি করেন।
এর আগে ৪৯ মামলার চক্করে পড়ে একরামুল আহসান নামের ৫৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। তার প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ওই সব মামলা দায়ের ও এর পেছনে কারা আছেন, তা খুঁজে বের করতে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা পড়ে। তদন্ত প্রতিবেদনে একরামুলের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় করা মামলার পেছনে রাজারবাগ দরবার শরিফের পীর দিল্লুর রহমান ও তাঁর অনুসারীদের সম্পৃক্ততার তথ্য এসেছে।
শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দিয়েছেন। রুলে রিট আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে ফৌজদারি মামলা দিয়ে হয়রানি করায় দিল্লুর রহমান ও তাঁর ১১ সহযোগীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক, র্যাবের মহাপরিচালক, দুদক চেয়ারম্যান, রাজারবাগ দরবার শরিফ, দিল্লুর রহমানসহ ২০ জনকে বিবাদী করে রুলের জবাব দিতে হবে।