সবুজ মাল্টা দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। রক্তশূন্যতায় ভুগছেন এমন মানুষের জন্য বেশ সহায়ক ফলটি।
মাল্টায় পেকটিন নামে এক ধরনের ফাইবার আছে, যা কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। বর্তমানে দেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ফলটি। তাই দেশজুড়ে সুস্বাদু ফল হিসেবে সবুজ মাল্টার চাহিদা বহুগুণ বেড়েছে।
যশোর জেলার চৌগাছা থানার পাতিবিলা গ্রামের মো. মাহদী রহমান একজন মাল্টা চাষি।

তিনি বলেন, আমি ৫ বছর ধরে সবুজ মাল্টা চাষ করছি। ৫ বিঘা জমি নিয়ে এই দেশি মাল্টার (সবুজ মাল্টা) চাষ শুরু করি। এখন আমি বেশ ভালো আছি। মাল্টা চাষে বেশি কষ্ট করা লাগে না। দুই বছরে একটা গাছের পেছনে মাত্র ২০০ টাকার মতো খরচ হয়। দ্বিতীয় বছর ১৫-২০ কেজি ফল পাওয়া যায় প্রতিটি গাছ থেকে। তৃতীয় বছর পাওয়া যায় ২০-৫০ কেজি। এরপর প্রতি বছর ফলন বাড়তে থাকে।
তিনি আরও বলেন, যে জমিতে অন্য কোনো ফসলের চাষ হয় না। সে জমিতে সবুজ মাল্টা চাষ করলে বেশ লাভবান হওয়া যায়। প্রতি বিঘা জমিতে একশ’ চারা লাগানো যায়। আমি ছয় বিঘা জমিতে মাল্টা চাষ করেছি। এখন প্রতি বছর খরচ বাদে এক-দেড় লাখ টাকা লাভ থাকে।
মিরপুর শাহ আলী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী নূরে আলম বলেন, সাত-আট বছর ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বাণিজ্যিকভাবে এ সবুজ মাল্টা আসছে। সবুজ মাল্টা মানুষ বেশি পরিমাণে খাচ্ছে। কারণ দামও হাতের নাগালে। যতই দিন যাচ্ছে এ ফলের চাহিদা তত বাড়ছে।
মিরপুর ১নং ফল মার্কেটে সবুজ মাল্টা কিনতে আসা মো. হাসান ইমাম বলেন, আমি বহুদিন ধরে মাল্টা খাই। দেশি মাল্টা বাজারে আসার পর থেকে আর বিদেশি মাল্টা কেনা হয় না। কারণ বিদেশি মাল্টার চেয়ে দেশি মল্টার স্বাদ বেশি বলে মনে হয় আমার। দামও কম, এখন কেজি ১০০-১২০ টাকা।
মিরপুর ১ নং ফল মার্কেটের খুচরা ফল বিক্রেতা মো. আকতার হোসেন বলেন, বেড়িবাঁধ এলাকার আড়ৎদারের কাছ থেকে আমরা সবুজ মাল্টা কিনে এনে বিক্রি করি। দিন যত যাচ্ছে এর চাহিদাও তত বাড়ছে। সারা দেশে চাষিরা যে পরিমাণে এর চাষ শুরু করেছে, তাতে মনে হচ্ছে কিছু দিনের মধ্যে বিদেশি মাল্টা বাংলাদেশের বাজারে আর চলবে না।