গত বছর করোনা মহামারির শুরুতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে অনেকেই বাজারে যাওয়া বন্ধ করে দেন। সেই থেকে এমন অনেক মানুষ পাওয়া যাবে, যাঁরা এখন পর্যন্ত বাজারে যাননি। অনেকে বিশেষ প্রয়োজনে যাওয়া-আসা শুরু করলেও এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক জীবনে ফেরেননি। সেই মানুষদের জীবনযাত্রা চলমান রাখতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে ই-কমার্স খাত। ২০২০ সালে বাংলাদেশে ই-কমার্স খাতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭০ শতাংশ। কর্মসংস্থানের নতুন খাত হয়ে উঠেছে এটি। আর সেই ই-কমার্সের চাকা চলমান রাখতে নীরবে কাজ করে গেছে নতুন ধারার কিছু কুরিয়ার সার্ভিস—ই কুরিয়ার, রেডেক্স, পেপারফ্লাই ইত্যাদি।
কিছু পরিসংখ্যান দিলে এ খাতের প্রবৃদ্ধির চিত্র পরিষ্কার হবে। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ কুরিয়ার সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যসংখ্যা ছিল ১১১। আর দেড় বছর পর জুনের হিসাব অনুযায়ী, এই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যসংখ্যা ১৩৮। অর্থাৎ এ সময়ের মধ্যে ২৭টি নতুন কোম্পানি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হয়েছে। মহামারির আগে দিনে অনলাইন অর্ডারের সংখ্যা ছিল ৪০ হাজার। ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, এখন দিনে অনলাইন অর্ডারের সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ। আর খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্যানুসারে, গত দেড় বছরে প্রথাগত কুরিয়ার সার্ভিসের প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। তবে সবার অবস্থা এক নয়।