২০১৪ সালের পর এলপিজির ব্যবহার বাড়তে থাকে। ২০১৬ সাল থেকে এই গ্যাসের বাজার শতভাগ বেড়েছে। মাঝে একটু চাহিদা কমলেও এখন আবার চাহিদা বাড়ছে। আমাদের ধারণা, ২০২৫ সালের মধ্যে এলপিজির বার্ষিক চাহিদা ৩০ লাখ টনে পৌঁছাবে, যা বর্তমানের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ।
এলপিজি কোম্পানিগুলো থেকে সরকার প্রতি মাসে বড় অঙ্কের রাজস্ব পাচ্ছে। তবে এখনো প্রাকৃতিক গ্যাসের অনেক অবৈধ সংযোগ রয়েছে। সেগুলো বিচ্ছিন্ন করলে এলপিজির চাহিদা অনেক বেড়ে যাবে। অবৈধ সংযোগের কারণে দ্রুত প্রাকৃতিক গ্যাস ফুরাচ্ছে, সরকারও রাজস্ব পাচ্ছে না। তাই অবৈধ গ্যাস-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
প্রতিবছর দু-চারটি নতুন কোম্পানি বাজারে আসছে। ইস্পাতের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতিটি ১২ কেজির সিলিন্ডার উৎপাদনের খরচ ১ হাজার ৮০০ টাকা থেকে বেড়ে ২ হাজার ৭০০ টাকা হয়েছে।
এলপিজি কোম্পানিগুলোকে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করতে হয়। তারা বর্তমানে ১২ কেজির সিলিন্ডার পরিবেশকদের কাছে মাত্র ৭০০-৮০০ টাকায় বিক্রি করছে। তারপরও তারা আশানুরূপ বিক্রি ও ব্যাংকের ঋণ সময়মতো পরিশোধ করতে পারছে না। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি হওয়ায় অনেক কম দামে এলপিজি (গ্যাস রিফিল) বিক্রি করতে হয়।
তাতে কোম্পানিগুলো মুনাফা করতে পারছে না। ইস্পাতের দাম বেশি হওয়ায় অনেক অসাধু ব্যবসায়ী গ্যাসের সিলিন্ডার স্ক্র্যাপ আকারে বিক্রি করে দিচ্ছে। এতে কোম্পানিগুলোও বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে। এই ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সহযোগিতা প্রয়োজন।