হাইড্রোপনিক (Hydroponic) একটি অত্যাধুনিক কৃষি পদ্ধতি। বর্তমানে জৈব চাষের রমরমার সময়ে মাটি ছাড়াই যা হয়ে উঠছে ভবিষ্যতের দিশারী। অতি লাভজনক ফসলের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে মাটির পরিবর্তে জলে গাছের প্রয়োজনীয় খাবার সরবরাহ করে ফসল ফলানো যায়।
ইতিমধ্যেই এই পদ্ধতিতে চাষ শুরু হয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন আনাচে কানাচে। এমনি এক দৃষ্টান্ত তৈরী করলেন সি.এম.পি ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মহসিন। তাও মজার বিষয় হলো তিনি তার কর্মস্থলে অর্থাৎ ডবলমুরিং থানার ছাদেই গড়ে তুলেছেন সুন্দর একটি ছাদ বাগান যেখানে তিনি টমেটো চাষ করছেন। তাও হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে। ওসি মহসিন আশা করছেন তার এই হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে চাষকৃত টমেটো গাছ থেকে তিনি প্রায় এক লক্ষ টাকার ফলন পেতে পারেন।
উক্ত বিষয়ে তিনি দৈনিক অর্থনীতিকে বলেন, মূলত থানায় কর্মরত সকল সদস্য নিজেদের থানার পুকুরের মাছ ও বাগানের সবজী যেনো খেতে পারেন সেই চিন্তা থেকে তিনি এই উদ্যোগ নিয়েছেন। এছাড়াও পুলিশ সদস্যরা বেশির ভাগ সময়ই তাদের কর্মস্থলে কাটান। তাই পেশাগত কারনেই তাদের ঘর থেকে বেশি সময় থানা কিংবা পুলিশ লাইনেই কাটাতে হয়।
তাই ছাদ বাগান করার মাধ্যমে তিনি চান যেনো পুলিশ সদস্যরা নিজের কর্মস্থলকে বাসা ভাবতে পারেন। জনবহুল এই দেশে যেখানে স্বাভাবিকভাবে চাষের জমি কম, সেখানে বাড়ির ছাদ, উঠোন, পলি টানেল এবং নেট হাউসে এই পদ্ধতিতে সবজি ও ফলের উৎপাদন হয়। আমেরিকা, জাপান, তাইওয়ান, চিন, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ার মতো দেশে বাণিজ্যিকভাবে মাটি ছাড়াই চাষের মাধ্যমে এভাবেই সবজি ও ফল উৎপাদন হচ্ছে।
এই চাষে সবচেয়ে বড় সুবিধা হল সারা বছরই চাষ করা যায় এবং উৎপাদিত ফসলে কোনও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় না। অনুর্বর এবং উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকার জায়গায় নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে যেমন এই পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদন করা যাবে তেমনি চকচকে শহরের বদ্ধ জায়গায় উচ্চমূল্যের ফসল উৎপাদন করে লাভবান হওয়াও সম্ভব।