গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার আট দিন আগে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা আমান উল্লাহ চৌধুরী ই-অরেঞ্জের ৬৬৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে সাবেক সিওও নাজমুল আলম রাসেলসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট পুলিশের একটি প্রতিবেদনও বলছে, ই-অরেঞ্জ কর্তৃপক্ষ গত ছয় মাসে ৩৬ হাজার ২৮১টি মোটরসাইকেল কেনে। এই মোটরসাইকেল কেনা বাবদ প্রতিষ্ঠানটির দুটি ব্যাংক হিসাব থেকে দেশের সাতটি মোটরসাইকেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের হিসাবে ৬৬৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা জমাও দেওয়া হয়েছে।
ই-অরেঞ্জের বর্তমান সিওও আমান উল্লাহ চৌধুরী মামলায় দাবি করেছেন, সাবেক সিওও নাজমুল আলম মোটরসাইকেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তার সঙ্গে আঁতাত করে কোম্পানির টাকা আত্মসাৎ করেছেন। কোম্পানি টাকাও দিলেও প্রকৃত গ্রাহকেরা মোটরসাইকেল বুঝে পাননি।
ই-অরেঞ্জের ব্যাংক হিসাব পর্যালোচনা করে পুলিশের প্রতিবেদন বলছে, মামলার আসামি সুলতান উদ্দিনের ‘বাজাস কালেকশন’–এর ব্যাংক হিসাবে ই-অরেঞ্জের ব্যাংক হিসাব থেকে ৩৮৬ কোটি ৭৩ লাখ ৬০ হাজার ৭২০ টাকা জমা হয়েছে।
আর আসামি মাহাদী হাসানের ‘অল জোন’ নামের প্রতিষ্ঠানের হিসাবে জমা পড়েছে ১৮৮ কোটি ৯৫ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। আর আসামি পার্থ প্রতীমের ‘বাইক ভ্যালি’র ব্যাংক হিসাবে ই-অরেঞ্জের ব্যাংক হিসাব থেকে ৭৩ কোটি ৮৭ লাখ ৬৬ হাজার ৪১২ টাকা জমা দেওয়া হয়েছে। আর মাহাদী আবিদের ‘আবিদ টিভিএস মটরস’ নামের ব্যাংক হিসাবে ৯ কোটি ৩৪ লাখ ২৭ হাজার ৯০০ টাকা হস্তান্তর করা হয়েছে ই-অরেঞ্জের হিসাব থেকে।