ব্যাংকে আমানতের সুদহার এত নিচে নেমে এসেছে যে ৫ শতাংশও সুদ পাচ্ছেন না আমানতকারীরা। অন্যদিকে শেয়ারধারীদের দিচ্ছে উচ্চ মুনাফা।
ইস্টার্ণ ব্যাংকে টাকা জমা রেখে কোনো কোনো আমানতকারী বছরে পাচ্ছেন আড়াই শতাংশ হারে সুদ। আর শেয়ারে বিনিয়োগ করে এই ব্যাংকের বিনিয়োগকারী পেয়েছেন ৩৫ শতাংশ মুনাফা। একইভাবে ডাচ্–বাংলা ব্যাংকের কোনো কোনো গ্রাহক বছরে সুদ পাচ্ছেন ২ থেকে আড়াই শতাংশ হারে। আর শেয়ারে বিনিয়োগ করে এই ব্যাংকের বিনিয়োগকারী পেয়েছেন ৩০ শতাংশ মুনাফা। ট্রাস্ট ব্যাংকে টাকা রেখে আমানতকারী সুদ পাচ্ছেন ২ থেকে ৩ শতাংশ। আর শেয়ারে বিনিয়োগ করে বছরে মুনাফা পেয়েছেন ২০ শতাংশ।
একইভাবে সব ব্যাংকের আমানতের সুদহার এত নিচে নেমে এসেছে যে ৫ শতাংশ হারে সুদও পাচ্ছেন না আমানতকারীরা। অন্যদিকে শেয়ারধারীদের দেওয়া হচ্ছে উচ্চ মুনাফা। এর মাধ্যমে ব্যাংকের উদ্যোক্তা–পরিচালকেরা ব্যাংক থেকে মুনাফা বাবদ বেশি টাকা বের করে নিচ্ছেন।
শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি নিচ্ছেন, এটা সত্য। শেয়ারবাজার থেকে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ার কিনছেন কয়েক গুণ বেশি দামেও। আমানতের সুদহারের সঙ্গে শেয়ারের মুনাফার সম্পর্ক কোথাও বিবেচনায় নেওয়া হয় না, এটাও সত্য। তবে আমানতকারীদের ঠকানো নিয়ে এখন প্রশ্ন তুলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য বেঁধে দিয়েছে আমানতের সর্বনিম্ন সুদহার।