চট্টগ্রাম থেকে ভারতের হলদিয়া ও কৃষ্ণপত্তনাম পথে দেড় বছর ধরে একটি শিপিং কোম্পানির দুটি জাহাজ চলাচল করছে।
নতুন করে এ দুই জাহাজ চলাচল অব্যাহত রাখার আবেদন করলেও বন্দর সাড়া দেয়নি। এই পথে অন্য কোনো কোম্পানির জাহাজ চলাচল করে না। তাতে কৃষ্ণপত্তনাম বন্দরে আটকা পড়েছে বাংলাদেশের আমদানিকারকদের প্রায় তিন হাজার কনটেইনার পণ্য। এসব পণ্য চীন, কোরিয়া, তাইওয়ান, জাপানসহ দূরপ্রাচ্য থেকে কৃষ্ণপত্তনাম বন্দর হয়ে চট্টগ্রামে আনার কথা ছিল।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের জানুয়ারিতে চট্টগ্রাম থেকে ভারতের কৃষ্ণপত্তনাম ও হলদিয়া বন্দরে দুটি জাহাজ চলাচলের অনুমোদন দেয় বন্দর। ভারতের শ্রেয়াস শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকস লিমিটেডের (বর্তমানে ডেনমার্কের ইউনিফিডার গ্রুপের প্রতিষ্ঠান) স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশের কর্ণফুলী লিমিটেডকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে গত বছরের মার্চে বন্দর আরেক চিঠিতে জানায়, এই অনুমোদন দুই মাসের জন্য। এরপর অনুমোদন অব্যাহত রাখার জন্য প্রতিষ্ঠানটি আবেদন করে। তবে বন্দর সে সময় নতুন করে অনুমোদন না দিলেও জাহাজ চলাচল বন্ধ করেনি।
গত মাসে জাহাজ দুটি বন্দরে পৌঁছালে নতুন করে অনুমোদন ছাড়া ভেড়ানো হবে না বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্ণফুলী লিমিটেডকে জানায়। পরে অবশ্য বন্দর কর্তৃপক্ষ সাময়িক ভিত্তিতে জাহাজ দুটি থেকে বন্দরে পণ্য খালাসের অনুমোদন দেয়। এই পরিস্থিতিতে গত ২৫ জুলাই ও ৮ আগস্ট পৃথক দুটি চিঠিতে এই পথে জাহাজ দুটি চলাচলের অনুমোদন নবায়ন করার জন্য আবেদন করে কর্ণফুলী লিমিটেড।
জানতে চাইলে বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, শিপিং কোম্পানিটির চট্টগ্রাম-কৃষ্ণপত্তনাম পথে জাহাজ চলাচলের যে অনুমোদন ছিল, তার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। নতুন করে তারা ওই পথে জাহাজ চালানোর আবেদন করেছে। এই আবেদন এখন পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
এদিকে ভারতের বন্দরে আটকা পণ্য চট্টগ্রামে আনার জন্য কোনো জাহাজ না পেয়ে বিপাকে পড়েছে জার্মানির হ্যাপাগ লয়েড। কারণ, কৃষ্ণপত্তনাম বন্দরে আটকে থাকা তাদের কনটেইনারের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। সিঙ্গাপুর বন্দরে কনটেইনার–জটের কারণে এক মাসের বেশি সময় ধরে দূরপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে শ্রীলঙ্কার কলম্বো বন্দর হয়ে কৃষ্ণপত্তনাম দিয়ে বিকল্প পথে বাংলাদেশি আমদানি পণ্য আনা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।
Discussion about this post