সময়ের কণ্ঠস্বর, ঢাকা- চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই গার্মেন্টসসহ রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ১ আগস্ট থেকে শিল্প কারখানা খোলা থাকবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
তবে ৫ আগস্টের আগে ঢাকার বাইরের শ্রমিকদের পোশাক কারখানায় যোগ দেওয়ার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে শ্রমিকদের চাকরি চলে যাওয়া নিয়ে কোনও চিন্তা করতে হবে না।’
শুক্রবার (৩০ জুলাই) রাতে একাত্তর টেলিভিশনের নিয়মিত অনুষ্ঠান-একাত্তর জার্নালে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে যুক্ত অতিথিদের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পোশাক কারখানার মালিকদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। তারা বলেছেন, শুধু ঢাকায় অবস্থানরত শ্রমিকরা কারখানায় যোগদান করবে। ঢাকার বাইরে থেকে কেউ আসবে না। কোনও গণপরিবহন চলবে না। ঢাকার বাইরের শ্রমিকরা যে যেখানে আছে সে সেখানেই থাকবে। ৫ আগস্টের পর শ্রমিকরা পর্যায়ক্রমে কারাখানায় আসবে এবং কাজে যোগ দেবে। কারো চাকরি হারানোর ভয় নেই।’
কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে কেন কারখানা খুলে দেওয়া হলো এমন প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতির কথাও ভাবতে হবে। রফতানিমুখী শিল্পের মধ্যে গার্মেন্টস অন্যতম। ৪০ থেকে ৫০ লাখ শ্রমিক এ খাতে কাজ করে। বাইরে থেকে অর্ডার নিতে হয়। অর্ডার বন্ধ হয়ে গেলে শিল্প ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। অসংখ্য মানুষ কাজ হারাবে। অর্থনীতিতে এর একটা প্রভাব পড়বে।’
করোনার সংক্রমণ রোধে গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এ বিধিনিষেধ চলবে আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত। বিধিনিষেধে সব ধরনের গণপরিবহন, সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ আছে। খাদ্যপণ্য উৎপাদন-প্রক্রিয়াকরণ, চামড়া পরিবহন-সংরক্ষণ ও ওষুধ খাত ছাড়া বন্ধ রয়েছে সব ধরনের শিল্প-কারখানা।