করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ২৩ জুলাই থেকে দ্বিতীয় বারের মতো সারা দেশে চলছে কঠোর বিধিনিষেধ। এতে ক্রেতা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন পাইকারি ও খুচরা ফল ব্যবসায়ীরা।
আড়তে পাইকার ও খুচরা বাজারে ক্রেতা ও চাহিদা না থাকায় লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে ফল ব্যবসায়ীদের।
পাইকারি বাজারে দেশি-বিদেশি সব ধরনের ফলেই কার্টনে ১৫০ থেকে ৪০০ টাকা লোকসান দিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে কেনা দামে বিক্রির ঘোষণা দিয়েও ক্রেতা পাচ্ছে না ব্যবসায়ীরা।
শনিবার (৩১ জুলাই) চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় ফলের আড়ৎ পুরান ষ্টেশন বাজার সংলগ্ন ফলমন্ডিতে পাইকারি বাজার ও বিভিন্ন ফলের খুচরা বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চলমান কঠোর বিধিনিষেধের কারণে পাইকাররা আড়তে আসতে না পাড়ায় সব ধরনের ফলে লোকসান দিয়ে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। যদিও ঈদের পর সরবরাহ কম থাকায় মালটা, আপেল ও দেশি আমের দাম বেড়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা বেশি দাম ফল কিনে পড়েছে বিপাকে। আর পাইকার ও ক্রেতা না থাকায় তাদের গুনতে হচ্ছে লোকসান। ফলের প্রকার ও মানভেদে পাইকারি বাজারে প্রতি কার্টন ফলে ১৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত লোকসান দিতে হচ্ছে তাদের। তবে মৌসুম শেষ হওয়ায় আড়তে দেশি ফলের সরবরাহ কমেছে। অন্যদিকে বিধিনিষেধের কারণে আমদানি করছে ব্যবসায়ীরা।
আমদানিকারকরা জানান, বিধিনিষেধের কারণে পাইকার না থাকায় ভারত, চীন ও অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি কমেছে। আগে যেখানে প্রতিদিন বিদেশি ফলের ১০০ থেকে ১৫০ ট্রাক বাদামতলীতে ঢুকতো। বর্তমানে সেখানে ২৫ থেকে ৩০ ট্রাক আসছে। আমাদের কোল্ডস্টোরগুলোতেও তেমন কোনো মজুদ নেই। বর্তমানে ব্যবসায়ী বাজার পর্যবেক্ষণ করছেন। এজন্য সবাই অল্প করে আমদানি করছে। তবে দেশি ফলের মৌসুম শেষ হয়ে আসছে, এখন কিছু বিদেশি ফলের আমদানি বাড়বে।