দেশে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সরকার ঘোষিত চল্মান লকডাউন আবারও ৭ তারিখ থেকে বাড়িয়ে ১৪ তারিখ পর্যন্ত করা হয়েছে ।
এদিকে নগরীর সড়কগুলোতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রিক্সা , মোটরবাইক ও ব্যক্তিমালিকানাধীন অনেক গাড়ি। শহরের প্রবেশ মুখে সেনাবাহিনী ও পুলিশের চেকপোস্ট বসানো থাকলেও চোখে পড়ার মতো কোনো অভিযান দেখা মেলেনি। এদিকে এ সময়ে সারাদেশে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ছাড়া সব গণপরিবহন বন্ধ রেখে সরকারি-বেসরকারি অফিস ‘সীমিত পরিসরে’খোলা রাখার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মস্থলে ছুটে যাওয়া মানুষ।

মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সরকার ঘোষিত লকডাউন এর পঞ্চম দিন চলছে। নগরীর সড়কগুলোতে এখন প্রধান বাহন রিক্সা। কিন্তু রিক্সা ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের বিতর্ক লেগেই আছে। অনেকে জীবিকার তাগিদে পায়ে হেঁটে অফিসে যাচ্ছে । যদিও প্রধান সড়কে মানুষের আনাগোনা কম কিন্তু নগরের অলিগলিগুলো যেন জনারণ্য।গলিগুলোতে নেই পুলিশ এর কোন নজরদারী নেই মানুষের মাঝে কোন সচেতনতা। সাধারণ জনগণের মধ্যে মাস্ক পরার প্রবণতাও কম।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকলেও খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার রয়েছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে এই লকডাউন এক ভীতির সঞ্চার করেছে। আসন্ন কোরবান নিয়ে গরু ব্যবসায়ীরাও রয়েছে আতঙ্কে । কিন্তু লকডাউন এর পঞ্চম দিনেও চট্টগ্রাম জেলায় করোনা সঞ্চারণ এবং মৃত্যুর ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই অবস্থায় সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা মানার জন্য সংবাদপত্রের সাহায্যে জোর প্রচারণা চালানো প্রয়োজন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
সংক্রমনের এই উর্দ্ধগতির হ্রাশ যদি এখনই টেনে ধরা না যায় তবে অচিরেই চট্টগ্রামে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। ইতিমধ্যে শয্যা সংকট এবং আইসিইউ বেড সংকট প্রকট আকারে দেখা দিয়েছে। তবে সরকারের কিছু কিছু প্রদক্ষেপ প্রশংসার দাবিদার যেমন অর্থাভাবে থাকা রোগীদের জন্য বিনামূল্যে কোভিড পরীক্ষা। 333 নাম্বারে কল করে খাদ্য সাহায্য নেওয়ার ব্যবস্থা এবং বিদেশগামী যাত্রীদের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করা। তবে তাদের টিকা নিয়ে নানা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় নিবন্ধন করে টিকা দিতে জটিলতা যেন কাটছেই না। এ কারণে অনেকেরই বিদেশযাত্রা এখন অনিশ্চয়তার পথে।
এ ধরনের লকডাউন চলতে থাকলে সংক্রমণ কমবে না বলে মনে করেন অনেকেই।