দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজের পাইকারি দাম কেজিতে ২-৩ টাকা কমেছে। আমদানীকৃত পেঁয়াজের মান খারাপ হওয়ায় এবং চাহিদা কমায় পণ্যটির দাম কমেছে বলে জানান বন্দরসংশ্লিষ্টরা। দুদিন আগেও বন্দরে প্রতি কেজি পেঁয়াজ প্রকারভেদে ২৭-৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। তবে এখন দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ২৪-২৮ টাকায়। এদিকে পেঁয়াজের দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রায় এক মাস বন্ধ থাকার পর জুনের প্রথম সপ্তাহে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। এতে দেশীয় বাজারে পণ্যটির ঊর্ধ্বমুখী দাম কমতে থাকে। আমদানিকারকরা ক্রমাগত পেঁয়াজ আমদানি বাড়ানোয় বেশ কিছুদিন ধরে মূল্যহ্রাসের ধারাবাহিকতা বজায় ছিল। কিন্তু সম্প্রতি লোকসানের কারণে আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন আমদানিকারকরা। এতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। তবে দুদিনের ব্যবধানে সোমবার আবারো পণ্যটির দাম কমেছে।
হিলি স্থলবন্দর ঘুরে দেখা গেছে, বন্দর দিয়ে নাসিক ও ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। দুদিন আগেও বন্দরে প্রতি কেজি ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ২৭ টাকা কেজি দরে। বর্তমানে তা কমে ২৪-২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকা কেজি দরে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ও সাদ্দাম হোসেন বলেন, সম্প্রতি পেঁয়াজ আমদানি করে লোকসানের মুখে পড়ায় আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে পেঁয়াজের দাম বাড়তির দিকে ছিল। কিন্তু গত দু-তিনদিন টানা বৃষ্টিপাতের কারণে ভারত থেকে আমদানীকৃত পেঁয়াজগুলো মোকাম থেকে শুরু করে বন্দের আসা পর্যন্ত ট্রাকে ত্রিপল বাঁধা অবস্থায় থাকছে। ফলে তীব্র গরমে বন্দরে পৌঁছানোর আগেই পেঁয়াজের মান খারাপ হয়ে যাচ্ছে। অনেক পেঁয়াজ গরমের কারণে পচে নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া কয়েকদিনের বৃষ্টিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মোকামগুলোতে পেঁয়াজের চাহিদা আগের তুলনায় কমেছে। এছাড়া দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন জেলায় পর্যায়ক্রমে লকডাউন চলছে। ফলে ওইসব অঞ্চলের হোটেল ও হাটবাজার বন্ধ থাকায় পেঁয়াজের চাহিদা কমে গেছে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ৩ জুন থেকে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে আগে বন্দর দিয়ে ৩০-৩৫ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হলেও বর্তমানে আমদানির পরিমাণ কমে ২০-২৫ ট্রাকে দাঁড়িয়েছে।