এক মাসের ব্যবধানে দেশে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক হাজার রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এতে মৃতের সংখ্যা ১৩ হাজার ছাড়িয়েছে। আজ ৩৯ জন কভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর মৃত্যু হওয়ায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৭১ জনে। সর্বশেষ আরো ১ হাজার ৬৩৭ জনের শরীরে ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
প্রাণঘাতী ভাইরাসটির সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান বিধিনিষেধের মধ্যেই গত ১১ মে দেশে মৃতের সংখ্যা ১২ হাজার পেরিয়ে যায়। গত বছরের ১৮ মার্চ এ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর তথ্য জানায় সরকার। এর আড়াই মাস পর গত বছরের ১০ জুন মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়ায়। এরপর ৫ জুলাই ২ হাজার, ২৮ জুলাই ৩ হাজার, ২৫ আগস্ট ৪ হাজার, ২২ সেপ্টেম্বর ৫ হাজার, ৪ নভেম্বর ৬ হাজার, ১২ ডিসেম্বর ৭ হাজার, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি ৮ হাজার, ৩১ মার্চ ৯ হাজার, ১৫ এপ্রিল ১০ হাজার ও ২৫ এপ্রিল ১১ হাজার ছাড়িয়ে যায় মৃতের সংখ্যা। এর মধ্যে গত ১৯ এপ্রিল দৈনিক হিসেবে সর্বোচ্চ ১১২ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়।
এদিকে নতুন আক্রান্তদের নিয়ে দেশে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ২৪হাজার ৪৮৬ জনে। এর আগে গত ৩১ মে এ সংখ্যা আট লাখ পেরিয়ে যায়। এর মধ্যে গত ৭ এপ্রিল একদিনে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৬২৬ জন কভিড-১৯ পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৫১০টি পরীক্ষাগারে ১১ হাজার ৫৯০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭৮ লাখ ২৩ হাজার ১৬১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সর্বশেষ নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১২ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আজ মৃতদের মধ্যে ২৬ জন পুরুষ এবং ১৩ জন নারী। সর্বশেষ বাড়ি ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরো ২ হাজার ১০৮ জন করোনা রোগী সুস্থ হওয়ায় মোট সুস্থতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬৪ হাজার ২৪ জনে।