করোনাকালীন ঘোষিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে সরকার ঘোষিত প্যাকেজগুলোর ফলে বৃহৎ শিল্প মালিকরা উপকৃত হলেও এসএমই খাত সেভাবে উপকৃত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ব্যবসায়ী নেতারা। গতকাল দ্য চিটাগং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) উদ্যোগে প্রস্তাবিত বাজেট ২০২১-২২-এর ওপর আয়োজিত এক ওয়েবিনারে এমন মন্তব্য করেন বক্তারা।
সিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) সভাপতি রূপালী হক চৌধুরী, বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান, বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমএ) সভাপতি মো. আলমগীর কবির, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম এবং ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের এক্সিকিউটিভ কমিটি ও বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সেলিম উদ্দিন।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বেশি না হলেও সরকারি ব্যয়ের কারণে জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনাকালের দ্বিতীয় বাজেটে সরকার ঘোষিত প্যাকেজগুলোর ফলে বৃহৎ শিল্প মালিকরা উপকৃত হলেও এসএমই খাত সেভাবে উপকৃত হয়নি।
সূচনা বক্তব্যে সিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম প্রস্তাবিত বাজেটকে দূরদর্শী বলে মূল্যায়ন করে বলেন, ঘোষিত বাজেট ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার জাতীয় লক্ষ্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। তিনি বলেন, করপোরেট করহার হ্রাস, বিভিন্ন সেক্টরে কর অব্যাহতি ও কর অবকাশ প্রদান সরকারের বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
এফআইসিসিআইয়ের সভাপতি রূপালী হক চৌধুরী বলেন, সরকার যদিও অবকাঠামো উন্নয়নে প্রচুর কাজ করছে এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে, তবে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য আইনগত ও নীতিগত দিকে আরো অনেক উন্নয়ন এবং সমন্বয় অপরিহার্য।
Discussion about this post