এ বছরে টানা তিন মাস ধরে পুঁজিবাজারে উত্থান অব্যাহত রয়েছে। তালিকাভুক্ত বেশির ভাগ কোম্পানির ইতিবাচক আয়ের কারণে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা বৃদ্ধি পাচ্ছে ও আস্থা বাড়ছে বাজারে। এতে করোনা পরিস্থিতির প্রকোপ মোকাবেলায় চলমান লকডাউনে সীমিত পরিসর লেনদেনেও ভালো অবস্থানে রয়েছে পুঁজিবাজার। গতকাল পুঁজিবাজারে সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে। তবে বেড়েছে অধিকাংশ কোম্পানি ও ফান্ডের বাজারদর। এদিকে গতকাল বস্ত্র খাতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি দেখা গেছে। গতকাল লেনদেনে বেশি অবদান রেখেছে বস্ত্র খাত, সেই সঙ্গে খাতটির ৮৪ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
এতে বস্ত্র খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে অনেক বিনিয়োগকারী লাভবান হবেন। সেই সঙ্গে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কারসাজি চক্র যাতে শেয়ারদর অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি করতে না পারে, সেদিকে নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজরদারি বাড়াতে হবে বলে জানান তারা।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল লেনদেন শুরুর পর থেকে সূচক কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী ছিল। এরপর সামান্য পতন হলেও পরে বড় উত্থান দেখা যায় সূচকের। সারা দিন কিছুটা উত্থান ও পতনের মাধ্যমে মিশ্র অবস্থায় লেনদেন শেষ হয়। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬২ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৮১৩ দশমিক ১৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, যা এর আগের কার্যদিবসে ছিল ৫ হাজার ৭৫০ দশমিক ৪৯ পয়েন্টে। গতকাল সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ন্যাশনাল ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ইসিবি, সাইফ পাওয়ারটেক, জিপিএইচ ইস্পাত ও সামিট পাওয়ারের।
এদিকে ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিন শেষে ৭ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৮২ দশমিক ৭৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে, যা আগের দিন ছিল ১ হাজার ২৭৫ দশমিক ১৪ পয়েন্টে। ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ দিনের ব্যবধানে ৫ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট বেড়ে গতকাল ২ হাজার ১৯২ দশমিক ৬৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবস শেষে যা ছিল ২ হাজার ১৮৬ দশমিক ৮৭ পয়েন্টে।
Discussion about this post